রাজধানীর মৌচাকে একটি আবাসিক কোচিং সেন্টারে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আজ রবিবার বিকালে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় একজন কলার ঢাকার মৌচাক মার্কেট এলাকা থেকে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করেন। তিনি জানান, তার এগার বছর বয়সী মেয়ে মৌচাক মার্কেটের কাছে “ক্যাডেট কেয়ার কোচিং সেন্টার” নামে একটি আবাসিক কোচিংয়ের শিক্ষার্থী। গত বছরের ডিসেম্বরে তার মেয়েকে তিনি সেখানে ভর্তি করান। কয়েকদিন আগে মেয়েটি আবাসিক ওই কোচিং সেন্টার থেকে বাসায় ফেরেন। তবে এরপর আর সে কোচিং সেন্টারে যেতে চায় না। কোচিংয়ের কথা বললেই সে কান্নাকাটি করে। মেয়েটি তার মাকে যৌন হয়রানির কথা জানান।

শিক্ষার্থীর মা অন্য কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলেন। তারাও কোচিং সেন্টারটির হেড টিচারের মাধ্যমে শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির কথা বলেন। আরও কয়েকজন ছাত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন বলে তিনি জানতে পারেন।

এরপর তিনি আরও কয়েকজন অভিভাবকসহ শনিবার বিকালে মৌচাক কোচিং সেন্টারে অবস্থান করে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে আইনি সহায়তা চান।

জাতীয় জরুরি সেবা থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কলারের সঙ্গে রমনা থানার ডিউটি অফিসারের কথা বলিয়ে দেওয়া হয়। সংবাদ পেয়ে দ্রুত রমনা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়।

রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুর জানান, তারা কোচিং সেন্টারের হেড টিচার কাজী জামিল উদ্দীনকে (৪৩) আটক করে থানায় নিয়ে এসেছেন।

এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।